১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার

ভেঙে ফেলা হতে পারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন 

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img
spot_img

পিলারে ফাটল ধরায় গুলিস্তানে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভবন ভেঙে ফেলার বিষয়ে ভাবছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এ বিষয়ে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানা গেছে।

ইতোমধ্যেই ভবনটিতে ‘ঝূকিপূর্ণ’ লেখা সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

এদিকে ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে বিস্ফোরিত ভবনটি ধসে পড়তে পারে সে আশঙ্কায় ভবনটির সামনের একপাশের রাস্তার যানচলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া মোড় থেকে বংশালমুখী সড়ক চালু থাকবে। ওই সড়ক দিয়ে উভয়মুখী যান চলাচল করবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (ট্রান্সপোর্ট, অতিরিক্ত দায়িত্ব আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা) মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের আঞ্চলিক কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। এরপর কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে, নাকি রাখা হবে।

তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরিত ভবনের পিলার এবং কলাম ধসে গেছে। দোতলার ছাদ নিচে দেবে গেছে। এ কারণে ভবনের ভিতরে ঢোকা যাচ্ছে না। বাইরে থেকে আপাতত মনে হচ্ছে, ভবনটি ভেঙে ফেলতে হবে।’

সিটি কপোরেশনের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের একটি আঞ্চলিক এবং সেন্ট্রাল কমিটি আছে। যেখানে সিটি কপোরেশন ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা আছেন। আমরা বৃহস্পতিবার সকালে আঞ্চলিক কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে ভবনটি দেখবো। ইতিমধ্যে আমরা ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ’ সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিয়েছি। ভবনটি ভেঙে ফেলতে হবে নাকি রাখা যাবে এটা টেকনিকাল কমিটি বৃহস্পতিবার দেখে বলতে পারবেন।’

ফায়ার সার্ভিসের জন্য ভবনের ভিতরে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে সিটি কপোরেশনের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভবনটি এখন পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ। বাইরে দিয়ে (ভবনের সামনের রাস্তা) বিশ টনের একটি ট্রাক যায় তাহলে ভবনটি ধ্বসে যেতে পারে। এজন্য আমরা রাস্তা বন্ধ রেখেছি।’

ভবনের সামনের একপাশের রাস্তা বন্ধ থাকবে জানিয়ে সিটি কপোরেশনের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা রাস্তা বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছি। এখন ভবনের সামনে দিয়ে কোনো যানচলাচল করবে না, একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শেষ বিকেলে গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে একটি ভবনে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বুধবার রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। ভবনটি মেয়াদোত্তীর্ণ বলে দুর্ঘটনার পর জানায় রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। তবে দুর্ঘটনার আগে তারা উদাসীন ছিল, নেয়নি আইনি ব্যবস্থা।

সর্বশেষ নিউজ