বিভিন্ন দাবিতে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে তৈরি পোশাকশিল্পসহ অন্যান্য খাতের শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এই আন্দোলনে ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশের যৌথ অভিযান শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এর প্রেক্ষিতে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ ভোর থেকে আমাদের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। এদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং কোনো শ্রমিক জমায়েতের তথ্যও পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, বেশ কয়েকটি কারখানায় পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে কারখানা বন্ধ দেখে অনেক শ্রমিক বাড়ি ফিরে গেছেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল রাকিব আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান অস্থিরতার পেছনে একটি গোষ্ঠীর ইন্ধন রয়েছে। তাদের লোকজন লুঙ্গি পরে হেলমেট মাথায় দিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মিশে অস্থিরতা তৈরি করছেন এবং কারখানা ভাঙচুর করছেন। ফলে যারা শ্রমিকদের উসকে দিয়ে আন্দোলনে নামাচ্ছেন এবং শ্রমিক না হয়েও যারা আন্দোলন করছেন ও কারখানা ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে একদল শ্রমিক আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় একটি কারখানার সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। সে সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দিতে এবং জন ভোগান্তি সৃষ্টি না করতে অনুরোধ করেন। সেনা কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেন, শিগগির তারা দাবি-দাওয়া নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পাবেন।
শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বর্তমানে জামগড়া, ডিইপিজেড, বাইপাইল ও আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়ক এলাকায় ৫০ শতাংশ কারখানা বন্ধ রয়েছে।