২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার
--বিজ্ঞাপন-- Bangla Cars

জার্মানির হামবুর্গে ধর্মীয় স্থাপনায় গুলি, অন্তত ৬ জন নিহত

এইদিন এইসময় ডেস্ক
spot_img

উত্তর জার্মানির হামবুর্গ শহরে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জেহোবার ইউটনেসের মিটিং হলে বন্দুকধারীর গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।

পুলিশ বলছে, একজন বন্দুকধারী নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জার্মান মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারী ছয় বা সাতজন নিহতের মধ্যে রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই ।

শহরের গ্রস বোর্স্টেল জেলার ডিলবোগে রাস্তায় গুলি চালানোর ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ বলেছে, তারা ঘটনাস্থলে একজন মৃত ব্যক্তিকে খুঁজে পেয়েছেন, যে অপরাধী হতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। খবর বিবিসির।

পুলিশের মুখপাত্র হোলগার ভেহরেন বলেছেন, ভবনটিতে গুলি চালানো হয়েছে এমন খবরে পুলিশকে রাত সোয়া ৯টার দিকে ডাকা হয়েছিল।

যে কর্মকর্তারা ভিতরে গিয়েছিলেন তারা এমন লোকদের খুঁজে পেয়েছেন যারা আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হতে পারে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ মারাত্মক।

‘কর্মকর্তারাও ভবনের উপরের অংশ থেকে গুলির শব্দ শুনে উপরে চলে যান, যেখানে তারা একজন ব্যক্তিকেও খুঁজে পান। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো ইঙ্গিত নেই যে কোনো অপরাধী পালিয়ে গেছে।’

পুলিশ এখনো নিহতদের শনাক্ত করতে পারেনি এবং ঘটনাস্থলে কাজ অব্যাহত রয়েছে।

ভেহরেন বলেছেন, ‘আমরা শুধু জানি যে এখানে বেশ কয়েকজন মারা গেছে, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে, তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

গুলির কারণ এখনও সম্পূর্ণ অস্পষ্ট।

ফেডারেল সতর্কীকরণ অ্যাপে প্রায় ৯টায় স্থানীয়দের একটি সতর্কতা পাঠানো হয়েছিল যে ‘এক বা একাধিক অজানা অপরাধী একটি গির্জার লোকদের উপর গুলি করেছে।’

চলমান পুলিশি অভিযানের মধ্যে আশেপাশের বাসিন্দাদের তাদের বাড়ি থেকে বের না হতে বলা হয়েছে।

ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ লোকজনকে মিটিং হলের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে, কিছু অ্যাম্বুলেন্সে।

হামবুর্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ডি গ্রোট টুইটারে বলেছেন যে পুলিশের বিশেষ বাহিনী এবং বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ জনগণকে গুজব না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছে।

যিহোবার সাক্ষিরা খ্রিস্টান-ভিত্তিক ধর্মীয় আন্দোলনের সদস্য।

চার্লস টেজ রাসেলের নেতৃত্বে ১৯ শতকের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই সম্প্রদায়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাদের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে।

সর্বশেষ নিউজ