এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) অভিযানে জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। তার নাম মো. এমদাদুল হক ওরফে এমদাদ উল্যাহ (৪৫)।
এটিইউ বলছে, এমদাদ মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতি করে জঙ্গিবাদের বিস্তার এবং অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধমূলক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত।
এমদাদ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ১৭ বছর ধরে পলাতক ছিলেন জানিয়ে এটিইউ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, নিজস্ব নজরদারির ভিত্তিতে এটিইউর একটি দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেনী সদরের সার্কিট হাউজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এমদাদকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ফেনী সোনাগাজীর মান্দারী গ্রামের মাওলানা শামসুল হকের ছেলে।
এটিইউ কর্মকর্তা আসলাম খান আরও জানান, ২০০৭ সালে এমদাদ ও তার সহযোগীরা নিজেরা বোমা তৈরি করে তা দিয়েই বরিশাল শহরে নাশকতার পরিকল্পনা করে। বাংলাদেশ সরকারকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অপরাধে সে সময় এমদাদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতোয়ালী থানায় মামলা হয়। মামলার অন্য আসামিরা বর্তমানে জামিনে আছেন।
আর এমদাদ ওই মামলা হওয়ার পর থেকেই পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। সে ওমরা ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অবস্থান করে এবং বেআইনি অবস্থানের দায়ে জেল খেটে ২০১৪ সালে দেশে
ফিরে এসে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থাকতে শুরু করে। দীর্ঘ ১৭ বছর ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে
ছিল। সে স্থানীয় মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতি করে জঙ্গিবাদের বিস্তার এবং অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধমূলক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এটিইউ কর্মকর্তা আসলাম খান।