১০ নভেম্বর ২০২৪, রোববার

“তরুনদের ভবিষ্যৎ কোন পথে? রাজপথ, সংসদ না পাড়ার টেবিল। “

ফারহানা সুমনা
spot_img
spot_img

আগস্ট ৫, ২০২৪ সোমবার, বাঙালি জাতির স্মরণীয় একটি দিন।টানা ১৫ বছরের স্বৈরাচার শাসনের অবসান ঘটিয়ে নতুন করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে বাংলাদেশের তরুন সমাজ।

দেশপ্রেমে বলীয়ান এ তরুন সমাজের চোখে এখন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব  কে অক্ষুণ্ণ রাখার অঙ্গিকার।

স্বাধীনতার নতুন ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে কথা বলতে চায় আজকের তরুনেরা।তরুণ সমন্বয়ক ‘আরিফ সোহেল’ বলেন: সত্তর দশকে দেশ পতাকা পেয়েছে,জাতীয় সংগীত পেয়েছে, জাতীয় প্রতীক পেয়েছে। এটাকে মানুষ স্বাধীনতা মনে করেছে।৫০ বছরে তারা বুঝতে পেরেছে এটা স্বাধীনত না।

মানুষের জীবনে স্বাধীনতা প্রতিফলিত না হলে, তার আর্থসামাজিক সুযোগ না থাকলে, তার বাক্স্বাধীনতা না থাকলে, সেই স্বাধীনতার কোনো অর্থ নেই।

নতুন  বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো কে শক্তিশালী করতে একটি যুগোপযোগী সংবিধান প্রণয়ন করার জন্য গূরুত্ব আরোপ করেছে  তরুন সমাজ ও বর্ষিয়ান সংবিধান বিশেষজ্ঞগণ।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম এর মতে :১৯৭১ সালের সংবিধানটাকে ২০২৪ সালের মানুষের চিন্তা, চেতনা ও আদর্শের আলোকে পরিবর্তন করা এখন সময়ের দাবি।

নতুন বাংলাদেশ মানেই তরুণদের সমারোহ। তাই বাংলাদেশের সংস্কার কর্মকাণ্ডের  প্রতিটি সেক্টরে তারা বিভিন্নভাবে ভুমিকা রেখে চলেছে।রাষ্ট্রের কাজে সাধারণ মানুষের  স্বতঃস্ফূর্ত  অংশগ্রহণ আর কখনও দেখেনি বাংলাদেশের মানুষ।

সমন্বয়ক সারজিস আলম সংস্কার এর বিষয়ে বলেন”সংস্কার কাজটি শুরু করতে হবে ঘর থেকে,অত:পর এই সংস্কার টি শহরে পৌছবে অত:পর জেলায়,জেলা থেকে রাষ্ট্রে পৌছবে।আর তখনই আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সেই বাংলাদেশ গড়তে পারবো।

আজকের বাংলাদেশ এর মানুষ যেন শুধু ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার না হয়,তারা যেন রাজনৈতিক ভাবে সচেতনতা নিয়ে বড় হয়ে ওঠে সেদিকে ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার জন্য বাবা মাকে  আহবান জানিয়েছে  তরুণ  দেশপ্রেমিকেরা।

এখন থেকে বাংলাদেশের মানুষ যেনো কিছু নির্দিষ্ট পেশায় যুক্ত না হয়ে দেশের জন্য নিজেদের কে যোগ্য নেতৃত্বের জায়গায় নিয়ে যেতে পারে, সে বিষয়ে কাজ করতে হবে তরুন ছাত্র সমাজকেই।

শহীদ মিনারের ৫ আগষ্টের এর বিজয় এর ছবি
শহীদ মিনারের ৫ আগষ্টের এর বিজয় এর ছবি

আজকের প্রেক্ষাপটে তরুণ সমাজের দায়িত্ব পালনের জায়গা গুলো যেমন ভাবে প্রসারিত হয়েছে, তেমনভাবেই একটি যোগ্য জাতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে।

তাই বলা যায়,  যে ছাত্র সমাজ টেবিলে বসে জ্ঞ্যান অর্জন করবে সেই ছাত্ররা রাজপথে  কাজ করবে,

সংসদে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে সেগুলোতে যেনো কোনো বৈষম্যমূলক আচরনের বহি:প্রকাশ না ঘটে সে বিষয়ে ও সরব থাকবে তরুণ সমাজ।

 

লেখক: কবি, সৃজনশীল লেখক

সর্বশেষ নিউজ