সনাতন ধর্মাবলাম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আজ (রোববার)। পালিত হচ্ছে বিজয়া দশমী।
অনুষ্ঠানটি বাংলা বর্ষপঞ্জির আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। দশ দিন ধরে এই পূজার আনুষ্ঠানিকতা চলে।
আজ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে। তাই, মণ্ডপে-মণ্ডপে এখন বাজছে বিদায়ের ঘণ্টা।
নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সন্ধ্যার আগেই প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
গত বুধবার (৯ অক্টেবার) ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
এ বছর দেবী দুর্গার আগমন করেছে দোলায়। ওই পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে ফলাফল হয় মড়ক। যা শুভ ইঙ্গিত নয়।
এছাড়াও দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্র মতে দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল ছত্রভঙ্গ হয়।এটি যুদ্ধ, বিগ্রহ, আশান্তি, বিপ্লবের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।
টানা পাঁচ দিনের আনন্দ উৎসবের পর রোববার বিজয়া দশমীর দিন দেবী বিসর্জনের মাধ্যমে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন দেবীদুর্গা। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব।
এবারের দুর্গাপূজা যেন আরও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয় সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়।
এবছরই দূর্গা পূজা উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৪ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩১৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোড়দার করা হয়েছে।
আবারও বাংলাদেশের মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে বাংলাদেশে সবসময় সব ধর্মের মানুষের মাঝে একটি সম্প্রীতির সম্পর্ক বিরাজমান।পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশের একটি উদাহরণ হতে পারে।