ছাত্র জনতার আন্দোলনে বাড্ডা থানার একটি হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন বলে জানা গেছে।
রিমান্ড শুনানিতে পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা থানার অন্তর্গত এলাকায় ছাত্র জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এ সময় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আলামিন গুরুতর আহত হয়ে পরে , অতঃপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আলামিনের মৃত্যুর বিচার চেয়ে বাডডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উক্ত ঘটনার সঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সরাসরি জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার নির্দেশ এবং নির্দেশনায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানানো হয়েছে।
হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং বাকি আসামিদের তথ্য সংগ্রহে আসামির বিরুদ্ধে রিমান্ড প্রয়োজন বলেপুলিশ জানায়।
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে জানান, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সাথে আসামির জড়িত থাকার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
এর আগেও কয়েকবার তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বারবার রিমান্ডে নিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে রাজধানীর মতিঝিল, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বাড্ডা, বনানী থানার প্রায় অর্ধ শতাধিক হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, জুনায়েদ আহমেদ পলক, দীপু মনি, ফারজানা রূপা, দিলিপ কুমার আগর ওয়ালা, সাবেক সাংসদ সাদেক খান, শাজাহান খান, ডিবির অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার মশিউর রহমান, মাজহারুল ইসলাম কে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
এর আগে সোমবার সকালে পুলিশি পাহারায় এসব আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ।
( এএ/ফারহানা সুমনা)