ভয়ের কারণ হচ্ছে, গতকাল আমার এক ব্যবসায়ী ভাগ্নে আমাকে অনুরোধ করেছে আমি যেন ব্যাংক গ্রাহকদের দুরবস্থা সম্পর্কে লিখি। আওয়ামী লীগ যে ব্যাংকগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে, তার ভোগান্তি নাকি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
আমি তাকে বললাম যে, আর্থিক খাতে তো সরকার ভালো উদ্যোগ নিয়েছে এবং অনেকটা স্থিতিশীল হয়ে আসছে ব্যাংকগুলো। এস আলমের ব্যাংকগুলোতে হয়তো সমস্যা রয়ে গেছে।
সে জানালো, এই ১০টি ব্যাংকের বাইরে আরও কিছু ব্যাংক যেমন এক্সিম, ন্যাশনাল ব্যাংক ১০,০০০ টাকার বেশি অর্থ দিচ্ছে না গ্রাহকদের।
অন্য ব্যাংকগুলো এই সুযোগে ফায়দা নিচ্ছে, যা গ্রাহকদের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করছে। আগে যখন এলসি খুলতে হতো, তখন ব্যাংক ১০% মার্জিন নিত, কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে তারা যা খুশি দাবি করছে, কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই।
আমার ব্যাংকের ম্যানেজার অনেকক্ষণ পর ফোন ধরলেন। চাহিদা জানালে তিনি বললেন, “১ লাখ কেন, আপনি ১০ কোটি নিয়ে যান, স্যার। আমরা কি ডট ডট ব্যাংক নাকি!”
আমি খুশিতে ১-এর পরে পাঁচটি শুন্য বসানোর জায়গায় আটটি শুন্য বসিয়ে দিই। পরে হুঁশ হলো যে, এতো টাকা তো জীবনে আমি চোখেও দেখিনি, একাউন্টে আসবে কোথা থেকে!
এর মধ্যে ম্যানেজার অভিযোগ করলেন যে সকালে তাদের গ্রাহক সেবা প্রোগ্রাম ছিল, দাওয়াত দিয়েছিলেন কিন্তু আমি যাইনি। এতো সকালে যাওয়া সম্ভব নয় সেটা আমি আগেই বলেছিলাম, স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বললেন, “তাহলে এখন আসেন।”
তিনটার পরে টাকা তুলতে গিয়েছিলাম। উনারা নাস্তা ও কফি খেতে দিয়েছেন আর একটি উপহার দিয়েছেন গ্রাহক সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে।
খুলে দেখি একটা ছাতা।
মনে মনে খুশি হলাম, এখন তো হাওয়া বুঝে চলার সময় চলছে। যেদিকে বৃষ্টি, সে দিকে এখন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার দেওয়া ছাতাটি ধরা যাবে।