সরি জাবেদ আক্তার। হাসপাতালের বিছানায় এভাবে ব্যথায় কাতরানো অবস্থায় আপনাকে দেখতে চাইনি। আপনি তো গিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কভার করতে। আপনার হাতে বুম ছিলো। আপনি সন্ত্রাসী নন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজের ব্যঘাতও ঘটাননি। দূরে দাঁড়িয়ে ঘটনা প্রত্যক্ষ করছিলেন। এরপরও বেদম মারপিট সহ্য করতে হলো! পুলিশের কতিপয় সদস্য আপনাকে নির্দয়ের মতো পিটিয়েছে। আপনি নিজের পরিচয় দিয়েছেন। কেউ এর ধার ধারেননি। তাদের নিশ্চয়ই এভাবে মারার অনুমতি ছিলো! আপনার সে অনুমতি নেই। আপনি অসহায়। আপনি নিরস্ত্র। আপনি তো আইন ভাঙ্গার শিক্ষা নেননি। মার খেলেও তাই জবাব দেবার অধিকার রাখেন না। কাজেই আপনি মার খাবেন। হাসপাতালে ভর্তি হবেন। নির্যাতনের ক্ষত বয়ে বেড়াবেন। আমরা কষ্ট পাবো। নিন্দা জানাবো। দু’লাইন লিখে হয়তো প্রতিবাদ জানাবো। হৃদয়ের রক্তক্ষরণও হয়তো নিয়ন্ত্রণ করবো। তবুও আইন, শৃঙ্খলার বাইরে যাবো না। আমরা অসভ্যতা ঘৃণা করি । বিবেকহীন মানুষগুলোর বিবেক ফিরে পাবার জন্যে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতে পারি। আমাদের অসহায়ত্ব নির্বিচার লাঠির কাছে।

পুনশ্চ: বুধবার সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদসহ যে সব সাংবাদিককে বিনাঅপরাধে লাঠিপেটা করা হয়েছে, এজন্যে দায়ীদের বিচার চাইছি। জানি না, এ প্রার্থনা মঞ্জুর হবে কীনা। নইলে অভিশাপ দিয়ে রাখলাম।
লেখক: সাংবাদিক