২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

মাদক নিয়ন্ত্রণে পরিবারের ভূমিকা সবার আগে : প্রধানমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আর্থিকভাবে যতটা সাবলম্বী হচ্ছি পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রে মাদকের বিরুপ প্রভাব ততটা  বাড়ছে।  মাদকের প্রভাব বিত্তশ্রেণি থেকে নিম্নশ্রেণি পর্যন্ত বিস্তার হচ্ছে।  মাদক নিয়ন্ত্রণে পরিবারের উচিত সবার আগে সোচ্চার  হওয়া।

আজ র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর কুরমিটোলায় র‍্যাব সদর দপ্তরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি  আরও বলেন, একটা পরিবারে কেউ মাদকাসক্ত হলে ওই পরিবারের কষ্টের কোন শেষ থাকে না। এমনও দেখা গেছে, মাদকাসক্ত সন্তান পিতামাতাকেও হত্যা করে ফেলে।

এ ক্ষেত্রে মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান র‍্যাব পরিচালনা করছে এটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে নিতে হবে। আমরা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। তবে এ বিষয়ে আমাদের আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। বিশেষ করে প্রতিটি পরিবারকে আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। যাতে মানুষ নিজেদের ঘরের সন্তানদের খোঁজখবর রাখে। তারা কোথায় যায়, কার সঙ্গে মিশছে, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত কিনা সে বিষয়েও তদারকি করা  উচিত, তাদের বিপদ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ কাজটি মনোযোগ দিয়ে করতে হবে।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, আমরা জাতীয়ভাবে এবং ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিটি করেছি। যাতে করে প্রত্যেকটা পরিবারের সন্তানদের বিশেষ নজর দেওয়া হয়। যেন কোনোভাবেই তারা মাদকাসক্ততে জড়িয়ে না পড়ে। এ বিষয়ে আরও আমাদের কাজ করা দরকার।  তবে এ বিষয়ে র‍্যাব যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে।

র‍্যাবের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারী পাচার, নির্যাতন, কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করছে তারা।  তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। র‍্যাবের এমন কার্যক্রম ভূয়সী প্রশংসনীয়।

সর্বশেষ নিউজ