বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে গত ৪ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে গ্রেফতার হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন। অভিযুক্ত অধ্যাপক ফরিদুদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকালে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে একটি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেট সচিব ড. এ বি এম আজিজুর রহমান।
জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা ও ১৭ জুলাই পুলিশি হামলা চলে।এসময় ক্যাম্পাসে এক যুদ্ধ বিদ্ধস্থ পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়।
সরকারের এই সকল অপকর্মের মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
গত ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হয়।ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপ থেকে দেখা যায়, ফরিদ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আরেকটু অপেক্ষা করুন রাজাকারদের পরাজয় আসন্ন।’
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ফরিদ উদ্দিনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্ররা।এসময় তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য নুরুল আলমকে প্রধান করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন, বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম।
মামলায় হামলার মদদ দেওয়ার অভিযোগে ফরিদ উদ্দিনকে ৭ নম্বর আসামি করা হয় বলে জানা যায়।
( এএ/ ফারহানা সুমনা