আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জঙ্গিবাদের সুযোগ নিয়ে দেশি-বিদেশি কোন শত্রু যেন বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি এ দেশ, সমাজ ও মানুষের ভালো চাই; আমাদের ছাত্র, সন্তান ও নিজেদের ভালো চাই; দেশকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে চাই; বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে চাই; তাহলে যে কোন মূল্যে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ২০০৫ সালে ঝালকাঠিতে জেএমবি’র বোমা হামলায় প্রাণ হারানো বিচারক সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।
জেএমবি’র বোমা হামলায় বিচারক সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাড়েঁর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন,
জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ খুবই ভয়ঙ্কর জিনিষ। এটা মানুষকে কতটা যুক্তিহীন, অমানুষ ও নিষ্ঠুর করে তোলে তার বড় উদাহরণ এই ঘটনা।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, যে কোন ধর্মের জঙ্গিবাদ মানুষকে নিষ্ঠুর, মরিয়া ও বেপরোয়া করতে পারে। এর বহু উদাহরণ আছে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রেও বিভিন্ন সময়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গিবাদ হয়েছে। আমরা কোন অজুহাতে বা কোন মোড়কেই জঙ্গিবাদ বা উগ্রবাদকে সমর্থন করতে পারি না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের চারপাশে বন্ধু ভাবাপন্ন কোন দেশ নেই। তাদের সব সময় চেষ্টা থাকে বাংলাদেশকে হেয় করা। কোন ঘটনাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো এবং এ নিয়ে ষড়যন্ত্র করা। অতীতে বাংলাদেশে যেসব মৌলবাদী ঘটনা ঘটেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি বাড়িয়ে আমাদের দেশের নামে একটা তকমা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে এখানে একটা নিয়ন্ত্রিত সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক মহলকে ‘কনভিনস’ করতে পেরেছে, আগ্রাসী হতে পেরেছে। ফলে আমরা গত ১৫ বছরে দেশে ফ্যাসিস্ট শাসন পেয়েছি।
বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব এম এ আউয়াল, ঢাকা মহানগরl দায়রা জজ মো . জাকির হোসেন, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সাব্বির ফয়েজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।