কাজল জুলাইয়ের গণবিপ্লবে আহত হন। যাত্রাবাড়িতে আবু সাঈদের মত দু’হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়েছিলেন তিনি। পুলিশের গুলিতে মাথায় আহত হন তিনি। ভর্তি হন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস)-এ। গত তিন মাস ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সে।
ধীরে ধীরে তার উন্নতি হতে থাকে। কিন্তু গত দুদিন আগে হঠাৎ করে ইনফেকশন হয়। বেশ কয়েকবার তার ডায়রিয়া হয়। এতে করে সে রক্তচাপ কমে গিয়ে শকে চলে যায়। পরে নিনসে বোর্ড করে চিকিৎসা দেয়া হতে থাকে। আজকে সকাল থেকে অবস্থা খারাপ হতে থাকে। আজকেও বোর্ড মিটিং বসে। তার অবস্থা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে জানানো হয়। কাজলের অবস্থা জানার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেন তিনি।
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে নিনসে পাঠান। নাহিদ এসে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন। তাকে দ্রুত থাইল্যান্ডের বেজথানি হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করেন। তবে আজকে শনিবার হওয়ায় ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না। তথ্য উপদেষ্টা তার ভিসা ও খরচের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন। দুই মন্ত্রণালয় থেকেই সবুজ সংকেত পান। পরে সিদ্ধান্ত হয় কাজলকে এয়ার এম্বুলেন্সে থাইল্যান্ড নেয়া হবে।
এ-র আগে সিএমএইচ হাসপাতাল থেকে গণবিপ্লবে আহত মুসাকে এয়ার এম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। সে অভিজ্ঞতা থেকেই
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সাথে সাথে সিএমএইচ-এ যোগাযোগ করেন। পরে তিনি এয়ার এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ভিসা না থাকায় কাজলকে আজকে থাইল্যান্ড নেয়া সম্ভব হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে থাই ভিসা সেন্টারে যোগাযোগ করা হয়। আশা করা হচ্ছে আগামীকাল ভিসা পাওয়া যাবে। ভিসা পাওয়ার পরই থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে এয়ার এম্বুলেন্সে রওনা দিবে কাজল।
এদিকে কাজলকে দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আসেন স্বাস্থ্যের সহকারী উপদেষ্টা অধ্যাপক সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক আবু জাফর ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা ডা. আহাদ।