হাইমচর উপজেলার ৩নং দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নে শনিবার (১৬-১১-২০২৪) সকালে নীলকমল ওসমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামাতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলার
জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোঃ শাহজাহান মিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,হাইমচর উপজেলা সেক্রেটারি মোঃ জসিম উদ্দিনসহ উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন থানা ও ইউনিয়ন দায়িত্বশীলবৃন্দ।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন,স্বৈরাচারী আন্দোলন করার জন্যই জামায়াতে ইসলামী যুগে যুগে তাদের নেতাকর্মীকে হারিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী,স্বাধীনতা বিরোধী ট্যাগ দিয়ে ফাঁসি দিলেও বাংলার লাখো মুসলিম জনতা নেতৃবৃন্দের জানাযায় উপস্থিত হয়ে প্রমাণ করেছে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধী নয়।
জুলাইয়ের গণবিপ্লবে আহত, নিহত ও পুঙ্গুত্ব বরণকারী ভাইদের কে আমরা ভুলে যাব না। তাদের স্বপ্ন ছিল বৈষম্যহীন শোষণ ও স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আর জামায়াতে ইসলামী সেই লক্ষ্যেই ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী একদল সৎ যোগ্য ও চরিত্রবান নেতৃত্ব তৈরি করেছে যাদের দ্বারাই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। যারা ভোট চোর, দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী এবং অসৎ চরিত্রের অধিকারী তাদের দ্বারা বাংলাদেশের জাতির ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব না।
আওয়ামী লীগ জাতির শত্রু, দেশের শত্রু এবং জনগণের শত্রু আওয়ামিলীগের একমাত্র কাজ ছিল ভারতকে সন্তুষ্ট করা। নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য তারা ভারতের সাথে অবৈধ চুক্তি করেছিল। বাংলাদেশ কে যদি বৈষম্য মুক্ত করতে হয় তাহলে সকল জনতাকে কোরআনের ছায়াতলে আসতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে কখনোই আমরা ইসলামী শাসন দেখিনি এইজন্য আমাদেরকে শপথ নিয়ে ইউনিয়নের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনায় কুরআনের প্রার্থীদেরকে ভোট দিতে হবে।জামায়াতে ইসলামী একটি পরীক্ষিত ইসলামী দল যারা শত অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল এবং কখনোই জালিমের সাথে আপোষ করেনি