জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন,
“এই অভ্যুত্থানের যেসব স্টেক-হোল্ডাররা চব্বিশের স্পিরিটকে ভুলে যেতে চান বা আওয়ামী নৃশংসতাকে হালকা করতে চান, তাদের উচিত প্রতি মাসে রুটিন করে শহীদদের কবর জিয়ারত করতে যাওয়া।
যারা হত্যাকারীদের সাথে সমঝোতা করতে চান, স্বার্থান্ধ ও দলান্ধ হয়ে এই অভ্যুত্থানের জন-আকাঙ্খাকে ইনকার করতে চান, প্রতিটি শহীদ পরিবারের ত্যাগের কথা ও শহীদের বীরত্ব গাঁথা আমরা বারবার তাদের স্মরণ করিয়ে দিবো।
একজন শহীদের স্মৃতির ছবি হাতে নিয়ে করা এক পোস্টের বিষয়ে তিনি বলেন,
ভাইয়ের হাতের শার্টটা যাত্রাবাড়ীতে শহীদ হওয়া পটুয়াখালীর বীর জিহাদের শার্ট। এ শার্টটা একই সাথে জুলাই অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী নৃশংসতার ঐতিহাসিক দলীল হয়ে থাকবে। ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে স্নাইপার শটে গুলি ডান হাতের বাহু ভেদ বুকের ডান পাশ ঢুকে যায়। ডান পাশে ঢুকে শহীদ জিহাদের বুকের বাম পাশ পর্যন্ত চলে আসে গুলি। ঐদিনই খোদার কাছে চলে যান শহীদ জিহাদ।
শহীদ জিহাদের বড় ভাই বলেন, “আমার ভাই গুলি খেয়ে একটুও কাঁদে নি। বিচলিত হয় নি। বাঁচার আকুতি পর্যন্ত করে নি”।
রক্তাক্ত শরীর নিয়ে হাসপাতালে যেতে যেতে শহীদ জিহাদ বলতেছিলেন, “মরে গেলেও অসুবিধা নাই। আমার অনেক ভাই তো শহীদ হয়েছেন অলরেডি। আমরা তো দুই ভাই। আমি মারা গেলে আমার বড় ভাই আছেন। অথচ, শহীদ আবু সাইদের তো কোন ভাইও নাই”।
কী অবিস্মরণীয় বীরত্ব গাঁথা! জুলাই অভ্যুত্থানের একেকজন শহীদের আত্মত্যাগের ঘটনা এবং সাহসিকতার কাছে পৌরাণিক বীরদের উপাখ্যানও ব্যর্থ হয়ে যায়।
এই অভ্যুত্থানের যেসব স্টেক-হোল্ডাররা চব্বিশের স্পিরিটকে ভুইলা যেতে নেন, আওয়ামী নৃশংসতাকে হালকা করতে চান, তাদের উচিত প্রতি মাসে রুটিন করে শহীদদের কবর জিয়ারত করতে যাওয়া। যারা হত্যাকারীদের সাথে সমঝোতা করতে চান, স্বার্থান্ধ ও দলান্ধ হয়ে এই অভ্যুত্থানের জন-আকাঙ্খাকে ইনকার করতে চান, প্রতিটি শহীদ পরিবারের ত্যাগের কথা ও শহীদের বীরত্ব গাঁথা আমরা বারবার তাদের স্মরণ করিয়ে দিবো।
(এএ/ ফারহানা সুমনা