বর্ণিল আয়োজনে প্রথমবারের মতো ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্ট্যান্ড-আপ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ফল-২০২৪।
১৬নভেম্বর (শনিবার) ডিআইইউ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব আয়োজনে এবং গোল্ডেন ভল্টের পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নলেজ টাওয়ারের স্টুডেন্ট লাউঞ্জে দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করা হয়।
ডিআইইউ সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং ক্লাবের আহ্বায়ক সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রবীন প্রভাষক রাজিব মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হাই জীবনের সঞ্চালনায় প্রতিযোগীতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান এবং ডিআইইউ সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং ক্লাবের উপদেষ্টা ড. ইমরান মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ইমরান মাহমুদ বলেন আমরা সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা এবং প্রতিভাবে সামনে নিয়ে আসার জন্য আমরা প্রথমবারের মতো এবার এই স্ট্যান্ড-আপ হ্যাকাথনের আয়োজন করি। আজকের প্রতিযোগিতায় আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের নতুন নতুন যে আইডিয়া গুলো উপস্থাপন করেছে তা সত্যিই অসাধারণ এবং প্রশংসার দাবিদার। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশে আগামীতে আমাদের এই ধরণের আয়োজন অব্যহত থাকবে।
প্রতিযোগীতায় প্রধান বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালেদ সোহেল। আমন্ত্রিত বিচারকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এবং সহকারী অধ্যাপক অমিত চক্রবর্তী, জনপ্রিয় কৌতুক অনুষ্ঠান মিরাক্কেলের কমেডিয়ান ইমদাদুল হক হৃদয়, লুমিনিয়াস ল্যাবসের সিইও মনিরুজ্জামান, বিজেআইটি লিমিটেডের এসকিউএ ইন্জিনিয়ার নাজমুল হাসান অভি, জিট হাব ক্যাম্পাস এক্সপার্ট শাহরিয়ার আল মুস্তাফিজ মিতুল। বিশেষ অতিথি কমেডিয়ান ইমদাদুল হক হৃদয় বলেন, একজন ইন্জিনিয়ার যে কৌতুক জানে, মানুষকে আনন্দ দিতে জানে, হাঁসাতে জানে আমি আজকে এই স্ট্যান্ড-আপ হ্যাকাথনে এসেই জানতে পেরেছি।
এই প্রতিযোগিতার আয়োজন সম্পর্কে জানকে চাইলে সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হাই জীবন বলেন, আমরা স্ট্যান্ড-আপ এবং হ্যাকাথন দুইটি বিষয়কে একত্রে করেই প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করেছি। এতে করে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে পারছে অন্যদিকে তারা দর্শকদেরও বিনোদন দিতে পারছে। জীবন আরো বলেন, এই হ্যাকাথনের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মেধা তুলে ধরা এবং ইন্জিনিয়ারদের প্রতি মানুষের ভুল ভাঙ্গানো। মানুষ ইন্জিনিয়ারদের নাম শুনলেই মনে করে ইন্জিনিয়াররা একটি বদ্ধঘরে মধ্যে থাকে, মানুষের সাথে কম মিশে কিন্তু আমাদের আয়োজনের মাধ্যমে প্রমানিত হয় যে ইন্জিনিয়াররা মানুষকে বিনোদন দিতে পারে, তারা উপস্থাপন করতে পারে, মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
হ্যাকাথন প্রতিযোগিতাটিতে মূলত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান এবং তথ্য অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রায় ৭০টি দল অংশগ্রহন করেছে। দক্ষ বিচারকমন্ডলীদের মাধ্যমে নির্বাচিত বিজয়ী ৩টি দলকে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রাইজমানি তুলে দেন অতিথিরা।