মোশারেফ হাওলাদার কমলনগর প্রতিনিধি ঃ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেছেন, আমরা বৈষম্যবিহীন ও প্রতিহিংসাবিহীন রামগতি-কমলনগর গড়তে চাই। এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমার নেতা জনাব তারেক রহমান সাহেব বলেছন জয়ী এবং পরাজিতরা যদি এক সাথে বসাবাস করতে পারে তাহলে আমরা স্বার্থক
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা তার বাসভবনে উপজেলা বিএনপি কতৃক আয়োজিত ‘৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রামগতি-কমলনগর প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, ‘আমার দলের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করার পরেও আমরা এখনো কারও বিরুদ্ধে একটি মামলাও করিনি। কমলনগরে ৯ হাজারের বেশি মামলার আসামি। আর রামগতিতে সাড়ে চার হাজারের বেশি মামলার আসামি। আমাদের নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্যে গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা কেউ কেউ আমাদের কিছু নেতা-কর্মীকে ম্যানেজ করে বাঁচার চেষ্টা করছেন। যারা অপরাধ করেছেন, যারা আমার ভাইদের হত্যা করেছেন তাদের কাউকেই ক্ষমা করা হবে না।’
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোঃ গোলাম কাদের মিয়া সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব নুরুল হুদা চৌধুরী, একমাত্র এম দিদার হোসেন,সাবেক চেয়ারম্যান ডাঃ আলী আহমদ উপজেলা বিএনপির সদস্য ডাঃ মামুনুর রশিদ, যুবদলের নেতা আবু ছায়েদ দোলন, বেলায়েত হাওলাদার, এমরান হোসেন মুরাদ,ছাত্রদলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাজু সদস্য সচিব জাফর আহমেদ ভূঁইয়া,সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ওসমান গনি রিপাদ প্রমূখ । সভায় উপজেলা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘আশরাফ উদ্দিন নিজান কমলনগর-রামগতি আসনের দলীয় নেতাকর্মীদের সন্তানের মত লালন পালন করছে তার বিকল্প কেউ নেই সাধারণ মানুষের পরীক্ষিত নেতা তিনি। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে দলীয় প্রার্থী করা হলে রামগতি কমলনগর বাসী দলের সেই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেবে না। আমরা দলের প্রার্থী হিসেবে একমাত্র নিজান সাহেব কে পেতে চাই।