নারী অফিসারের বিয়ের ফাঁদে দাগী দুস্কৃতকারী, এরপর কী হলো…
দাগী দুষ্কৃতীকে ধরতে বিয়ের ফাঁদ পাতলেন মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা। ঘোরা হলো সাত পাক। অনেক চেষ্টার ফসল ঘরে উঠলো নারী পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে।
দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও দাগী দুষ্কৃতীকে ধরতে পারছিলেন না তিনি। মধ্যপ্রদেশের ঘটনা।শেষ পর্যন্ত আর কোনও উপায় না দেখে অপরাধীকে ধরতে বিয়ের ফাঁদ পাততে তাকে। তাতেই জালে ধরা পড়ল দুষ্কৃতকারী। ভারতের মধ্য প্রদেশে অপরাধী পাকড়াও করার ক্ষেত্রে প্রায়ই এ রকম নানা কৌশল অবলম্বন করে পুলিশ। দুষ্কৃতকারী ধরতে পুলিশকে ফাঁদও পাততে হচ্ছে।
সিনেমার পর্দায় প্রায়ই এমন দৃশ্য দেখা যায় অপরাধীর সঙ্গে নায়িকার প্রেম। তারা অনেকদিন ধরে একত্রে ঘোরাফেরা করে। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই কী ঘটতে যাচ্ছে। তবে শুধু বড় পর্দা নয়, দুষ্কৃতীকে কব্জায় আনতে বাস্তবেও পুলিশকে নানা ফন্দি আঁটতে হয়।
সম্প্রতি তেমনই একটি ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে। দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও দাগী দুষ্কৃতকারীকে ধরতে পারছিল না মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। শেষ পর্যন্ত আর কোনও উপায় না দেখে অপরাধীকে ধরতে বিয়ের ফাঁদ পাতা হল।
বালকিষণ চৌবে নামের ওই অপরাধী ১৬ মামলার ঘটনায় অভিযুক্ত। তাঁর মাথার দাম ধার্য হয়েছে ১০ হাজার। কিন্তু কোনও চেষ্টাই কাজে আসেনি। তাই আটঘাট বেঁধে মাঠে নামতে হয়েছে পুলিশকেই।
বিভিন্ন সূত্র মারফত পুলিশের কানে এসেছে, বালকিষণ নিজের জন্য বৌ খুঁজছেন। বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই খবরে হাতে যেন চাঁদ পায় পুলিশ দফতর। ঠিক হয়, এক জন মহিলা পুলিশকর্মীকে সামনে রেখেই পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সে মোতাবেক কাজ।
বিয়ের জন্য পাত্র দেখা। কনে দেখা। একে অপরকে বোঝার জন্য সময় দেয়া। সবই হয়েছে। শেষে গ্রেপ্তারের কাজটাও সঠিকভাবে হয়েছে। পাত্র তো হতবাক। এ কেমন পাত্রী দেখা, প্রশ্ন পাত্রের।