চুয়াডাঙ্গায় ফল ব্যবসায়ী বাবর আলীকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিহত বাবর আলীর স্ত্রী মাহিমা খাতুন (৪০)-কে গ্রেপ্তার করার পর তিনি প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। রবিবার দুপুর ২টায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন।
গ্রেপ্তার মাহিমা খাতুন দর্শনা ধান্যঘরা গ্রামের নিহত বাবর আলীর স্ত্রী। তিনি প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
এর আগে শনিবার (১০ জুন) অভিযান চালিয়ে ঘটনার বিভিন্ন পারিপার্শ্বিকতা ও সাক্ষ্য প্রমাণেরভিত্তিতে নিহতের স্ত্রী আসামি মহিমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, গত শুক্রবার (৯ জুন) রাত ১টায় বাবর আলী তার বসতঘরের বারান্দার মেঝেতে প্লাস্টিকের মাদুরের উপর ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে গুরুতর জখম করে। এসময় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শনিবার বাবর আলীর ভাই সাবের আলী বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করেন। হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য দর্শনা থানা পুলিশের একাধিক টিম তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে নামে। মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ নিহতের স্ত্রী মহিমাকে গ্রেপ্তার করে এবং ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে নিজেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বসতবাড়ির শয়নকক্ষের খাটের নিচ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত হাসুয়াটি আসামি নিজেই বের করে দেন।
তিনি আরও জানান, মাহিমা খাতুন এবং নিহত বাবর আলী স্বামী-স্ত্রী। মাহিমা খাতুন এনজিও থেকে ঋণ নেন। সেটা বাবর আলীর পছন্দ ছিল না। ফলে তাদের পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। হত্যার দিন রাতে পারিবারিক কলহের কারণে বাবর আলী ও মহিমা খাতুনের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বাবর আলীর কাছে থাকা ধারালো হাসুয়া কেড়ে নিয়ে মহিমা খাতুন তার স্বামী বাবর আলীর গলায় কোপ মারে। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে বাবর আলী মৃত্যুবরণ করেন।
(এইদিনএসময়/১১জুন/এলএ)