পাঁচ বছরের শিশু হঠাৎ মিথ্যা বলছে—এমন অভিজ্ঞতা অনেক অভিভাবকেরই হয়ে থাকে। বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, বরং মনোযোগ দিয়ে বোঝানোর সুযোগ তৈরি করাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বয়সে শিশুরা কল্পনা ও বাস্তবের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। আবার অনেক সময় সীমা যাচাই, ভুল বোঝাবুঝি কিংবা শুধু ইচ্ছাপূরণে খেলার ছলেই তারা এমন কথা বলে।
কী করবেন অভিভাবক?
কোনো অভিভাবক এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলে তার করণীয় হলো—
শান্তভাবে জিজ্ঞেস করুন
সন্তান মিথ্যা বললে কঠোর হবেন না। বরং তাকে আবার ভেবে উত্তর দিতে বলুন। এতে সে বুঝতে পারবে সত্য বলাটা জরুরি।
বাস্তব বনাম কল্পনার ব্যাখ্যা দিন
যেমন ঘর গুছিয়েছে কি না—এই প্রশ্নে শিশুর উত্তর অনেক সময় তার নিজের সংজ্ঞায় হয়। তাই আপনার সংজ্ঞা ও তার সংজ্ঞার পার্থক্য বুঝিয়ে দিন।
কারণ খুঁজে দেখুন
ভয়, শাস্তির আশঙ্কা কিংবা এড়ানোর প্রবণতা থেকেও শিশুরা মিথ্যা বলতে পারে।
নিজেও উদাহরণ দিন
অনেক সময় আমরা নিজেরাই সাদা মিথ্যা বলি—‘এক মিনিটে আসছি’ বলে পাঁচ মিনিট পর আসি। তখন শিশুকে বলা যায়—‘আমি ভুল বলেছি, এক মিনিট নয়, পাঁচ মিনিট লেগেছে।’ এতে শিশুর মনে হবে, ভুল স্বীকার করা স্বাভাবিক।
সত্য বললে প্রশংসা করুন
সন্তান যদি নিজে থেকে ভুল স্বীকার করে বা সত্যি বলে, সঙ্গে সঙ্গে প্রশংসা করুন। এতে তার মনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, শিশু বয়সের এই মিথ্যা বলা বেশিরভাগ সময়ই ক্ষণস্থায়ী একটি ধাপ। ধৈর্য, খোলামেলা যোগাযোগ ও স্নেহশীল আচরণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সন্তানের মধ্যে সত্যবাদিতার অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব।
সূত্র : অ্যাবাউট ইসলাম