সৌদি আরবে উদযাপিত হচ্ছে রেড সি ফ্যাশন উইক। শুক্রবার ছিল তার দ্বিতীয় দিন। আর এদিন আয়োজন করা হয় এই বিশেষ ফ্যাশন শোয়ের। সেন্ট রেজিস রেড সি রিসোর্টের সুইমিং পুলের ধারে বসে ছিল এই ফ্যাশন শোয়ের আসর।
মরক্কোর পোশাশিল্পী ইয়াসমিনা কাঞ্জালের তৈরি রংবেরঙের সাঁতার পোশাক পরে প্রথমবারের মতো ফ্যাশন শোয়ে হাঁটেন মডেলরা। মডেলদের পরনে ছিল সুইমস্যুট যা মূলত ওয়ান পিস। লাল, ধূসর, নীল, সবুজ, কমলা, গোলাপি নানা রঙের মেলা বসেছিল এই শোয়ে।
মডেলদের পোশাকে রঙের পাশাপাশি ঢঙেরও বৈচিত্র্য ছিল। কেউ ছিলেন উন্মুক্ত কাঁধে, তো কারো শরীরের মধ্যভাগও ছিল অর্ধেক উন্মুক্ত। কেউ কেউ নিম্নাঙ্গে বেঁধেছিলেন সারং, আবার বাঁধেননি এমনও অনেকে ছিলেন। কেউ কেউ আবার মাথা ঢেকেই পরে ছিলেন সুইমস্যুট। এই শোয়ের ভিডিও ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
সৌদির মাটিতে প্রথমবার সাঁতারের পোশাক পরিয়ে মডেলদের হাঁটানো নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়াসমিনা কাঞ্জাল। এএফপিকে তিনি বলেন, যখন আমরা এখানে এসেছিলাম, তখন বুঝতে পেরেছিলাম সৌদি আরবে সুইমস্যুট ফ্যাশন শো একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কারণ এ ধরনের অনুষ্ঠান এই প্রথম।
সাঁতারের পোশাকের ফ্যাশন শো সৌদি আরবের ফ্যাশন শিল্পকে প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই শো সৌদি আরবের ভিশন ২০২৩০ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির অংশ।
এছাড়া রিসোর্টটি রেড সি গ্লোবালের অংশ, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের তত্ত্বাবধানে গিগা-প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি।
শুক্রবারের ঐতিহাসিক ফ্যাশন ইভেন্টে অংশ নেওয়ার সময় সিরিয়ার ফ্যাশন প্রভাবশালী শৌক মোহাম্মদ বলেছেন, সৌদি আরবের আরও বিশ্বায়ন এবং পর্যটন ও ফ্যাশন শিল্পের প্রসারের প্রচেষ্টা বিবেচনা করা আশ্চর্যজনক নয়।
সরকারি সৌদি ফ্যাশন কমিশনের গত বছর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালে ফ্যাশন শিল্প ২৩০,০০০ লোককে নিয়োগ দিয়েছিল এবং ১২.৫ বিলিয়ন ডলার বা দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১.৪ শতাংশ এনেছিল।
ফরাসি প্রভাবশালী রাফায়েল সিমাকোর্বে শুক্রবার ফ্যাশন ইভেন্টে যোগ দিয়ে বলেছেন, তার চোখে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু নেই, তবে সৌদি প্রেক্ষাপটে এটি একটি বড় অর্জন।