নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাতে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হয়েছে বলে জানা যায়।
গণ বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ইরানের পূর্নাঙ্গ সমর্থনের বিষয়টি উল্লেখ করে ইরানের রাষ্ট্রদূত। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের প্রতি ইরান সরকারের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার আগ্রহের কথাও জানান।
বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ এবং ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাদৃশ্য বিদ্যমান। এই সম্পর্ক প্রতিনিয়ত আরও সুদৃঢ় হচ্ছে বলে ইরানের রাষ্ট্রদূত মত প্রকাশ করেন।
এসময় বাংলাদেশের পাট আমদানি করার কথা উল্লেখ করা হয়। ইরান বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানি করে থাকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ইরান থেকে লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে।
বৈঠকে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ইরানের আগ্রহকে স্বাগত জানান। তিনি বাংলাদেশ সরকার সবসময় আন্তর্জাতিক জাহাজ পরিবহনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখেই জাহাজ পরিচালনা করে থাকে বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যিক সুসম্পর্কও রয়েছে। বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্যের অন্যতম অংশীদার। আমদানি-রপ্তানি সম্প্রসারণে উভয় দেশেরই অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুই দেশেই ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় এই সৌজন্য সাক্ষাৎএ।
এ সময় ইরানের রাষ্ট্রদূত সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে কিভাবে দুই দেশ একইসাথে উপকৃত হতে পারে সেই বিষয়টি নিয়ে কথ বলেন
রাষ্ট্রদূত বলেন,বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হবে । দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে তিনি মনে করেন।
বৈঠকে বানিজ্য উপদেষ্টা ও ইরানের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
(এএ/ ফারহানা সুমনা)