অর্থপাচার মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়াকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাকি চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিদেশে পালানোর চেষ্টাকালে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। তদন্তে উঠে আসে, রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে গড়ে তোলা হয় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র, যা ঢাকার বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, মাদক, অস্ত্র ও অর্থ পাচারে জড়িত ছিল।
পাপিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অস্ত্র মামলায় তার ও তার স্বামীর ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়।
জেল জীবনেও পাপিয়ার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অপরাধের অভিযোগ উঠে আসে। কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি একাধিক বন্দীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন বলে রেকর্ডে উল্লেখ রয়েছে। এমনকি তিনি ঘুষ দিয়ে হাসপাতালেও আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতেন এবং সেলে অবৈধভাবে মোবাইল ফোন রাখতেন। এসব অভিযোগের পর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে তাকে কাশিমপুর থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
পাপিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দেয় এবং রাজনৈতিক অঙ্গনেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

