২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার

জুলাই যোদ্ধাদের বিষপান: চিকিৎসা ও অবহেলায় রাজনৈতিক দল ও সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img
spot_img

রাজনৈতিক অবহেলা ও চিকিৎসা সংকটের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ঝাড়লেন আহত জুলাই যোদ্ধারা। রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চোখ হারানো চার যুবকের বিষপানের ঘটনায় বেদনা ও বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাকিরা।

রোববার দুপুরে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে বিষপান করেন আহত যোদ্ধা শিমুল, মারুফ, সাগর ও আখতার হোসেন (আবু তাহের)। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার পর রাতেই চিকিৎসাধীন অন্য আহত যোদ্ধারা সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্যে উঠে আসে রাজনৈতিক দলগুলোর উদাসীনতা এবং সরকারের ‘রক্তের ঋণ’ ভুলে যাওয়ার অভিযোগ।

আহত এক যোদ্ধা বলেন: আমার চার ভাই বিষপান করেছে। এজন্য দায়ী গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো এবং সেই সরকার, যারা আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে রাজপ্রাসাদে বসেছে।”

তিনি আরও জানান: ১০ মাস কেটে গেলেও মাত্র ৫০ জন আহত যোদ্ধাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। অথচ আহত হয়েছে ২২ হাজারের বেশি, যাদের মধ্যে ১,০০০ জন চোখ হারিয়েছেন, ৩৮ জন হাত—পা হারিয়েছেন।”

সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন,

“আমরা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে যমুনা ঘেরাও করেছি, প্রধান উপদেষ্টার কাছে হাতজোড় করেছি— আমাদের বাঁচান বলে। যেই লাল গালিচা বিছানো হয়েছিল সরকার প্রধানের জন্য, তা আমাদের রক্তের বিনিময়ে। অথচ এখন সেই সরকার আমাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ন্যূনতম দায়িত্ব নিচ্ছে না।”

তিনি জানান, সরকার চীন থেকে আইওয়াশের মতো ডাক্তার এনেছিল, মাঝে মাঝে নেপাল থেকেও আসে কেউ কেউ, দু—চারটা রোগী দেখে চলে যায়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা বা বিদেশে উন্নত চিকিৎসার উদ্যোগ বাস্তবতায় রূপ নেয়নি।

এই বক্তব্যগুলো দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছে— জেগে উঠেছে প্রশ্ন: জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে গঠিত সরকার কেন সেই জনগণের আহত সৈনিকদের পাশে নেই?

সর্বশেষ নিউজ