ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে যাতায়াতের সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার অন্যান্য বাহনের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ছিল বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির তথ্য অনুযায়ী, এবারের ঈদে মোট ১৩৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৭ জন, আহত হয়েছেন আরও ১৪৮ জন। যা সামগ্রিক সড়ক দুর্ঘটনার ৩৫.৩৫ শতাংশ।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঈদযাত্রাকালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের মধ্যে ছিলেন ৬১ জন চালক, ৫০ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৮ জন পথচারী, ৪০ জন নারী, ৩০ জন শিশু, ৩২ জন শিক্ষার্থী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ সদস্য, ৫ জন শিক্ষক, একজন চিকিৎসক, একজন প্রকৌশলী এবং ৮ জন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
দুর্ঘটনার ধরণ অনুযায়ী বিশ্লেষণে দেখা যায়, এতে জড়িত বাহনগুলোর মধ্যে মোটরসাইকেলের হার ছিল ২৬.৫৪ শতাংশ, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ১৯.১১ শতাংশ, বাস ১৮.৫৮ শতাংশ, ব্যাটারিচালিত রিকশা ১৩.৬২ শতাংশ, কার ও মাইক্রোবাস ৭.৪৩ শতাংশ, নছিমন-করিমন ৭.৬১ শতাংশ এবং সিএনজি অটোরিকশা ৭.০৭ শতাংশ।
দুর্ঘটনার ধরন হিসেবে ৪০.৬৩ শতাংশ ক্ষেত্রে পথচারীকে চাপা দেওয়া, ২৮.২৩ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২০.০৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়া, ০.৭৯ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষ এবং ১০.২৯ শতাংশ অন্যান্য অজানা কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।