ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। তবে প্রথম দিনেই কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি ও ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান—প্রচারণার প্রথম দিনেই ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রচারণা বোর্ড ভাঙচুর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নারী প্রার্থীদের ওপর বিশেষ আক্রমণাত্মক আচরণেরও অভিযোগ করেন তিনি। সাদিক কায়েমের দাবি, হামলার স্পষ্ট ভিডিও ফুটেজ তাদের হাতে রয়েছে।
তিনি বলেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে সন্দেহ তৈরি হবে।
এর পাশাপাশি আরেকটি ফেসবুক পোস্টে সাদিক কায়েম লিখেছেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ ও উন্মুক্ত ক্যাম্পাস চাই। কিন্তু যে কুচক্রী মহল এই অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের পরিণতি হবে পতিত ফ্যাসিবাদের মতোই। আমরা চারুকলার সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাই, এই মহল সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং আমাদের ঐক্য বিনষ্ট হতে দেবেন না।
এদিকে মঙ্গলবার থেকেই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ব্যবহারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে এবং প্রার্থীদের নির্ধারিত সময় মেনে প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছে।
নির্বাচনী দিনে কঠোর নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সভা। পাশাপাশি ভোট গণনার সময়ও সেনাসদস্যরা ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করবেন।
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সাতটি প্রবেশপথে সেনা সদস্যরা অবস্থান করবেন। ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তারা কেন্দ্রগুলো কর্ডন করে রাখবেন, যাতে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে না পারে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভোটের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ থাকবে। এছাড়া নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকেই হলে কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না।