১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার

নর্থ সাউথের সেই শিক্ষার্থী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img
spot_img
কোরআন শরিফ ‘অবমাননার’ অভিযোগে গ্রেফতার ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশনের বিভাগের উপপরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, কোরআন অবমাননার ঘটনায় ভাটারা থানার এসআই চাঁদ মিয়া অভিযুক্তকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়েছে, “এই আসামি কোরআন অবমাননার সঙ্গে জড়িত বলে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে এই শিক্ষার্থী পবিত্র গ্রন্থ কোরআন হাতে করে নিয়ে এসে— সবার সামনে হাত থেকে ফ্লোরের ওপর ফেলে পা দিয়ে পদদলিত করে, ধর্ম বিশ্বাসের অবমাননা করে মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত হানার কথা স্বীকার করেছেন।’’
“মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পরবর্তী সময়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।”
কোরআন অবমাননার ঘটনায় রবিবার ভাটারা থানার উপপরিদর্শক হাসমত আলী মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, এতে অভিযোগ তোলা হয়— ওই শিক্ষার্থী কোরআন অবমাননা করেছেন। ওই শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করে তাকে গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়। এরমধ্যেই রাত ১টার দিকে অভিযুক্তের বাসার সামনে জড়ো হতে থাকেন ক্ষুব্ধ অনেকেই।
খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করে ভাটারা থানা পুলিশ। প্রথমে তাকে আটক করতে জনতার সহায়তা চায় পুলিশ, জনতার তরফেও পুলিশকে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর শুরু করে। জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য ডেকে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষার্থকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে।

সর্বশেষ নিউজ