জঙ্গিবাদ পুরোপুরিভাবে নির্মূল করা সম্ভব না হলেও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী অব্দুল্লাহ আল মামুন। জঙ্গিরা দেশের শৃঙ্খলা নষ্ট করার পরিকল্পনা করার আগেই আমরা সেখানে অভিযান দিচ্ছি, তাদের গ্রেফতার করছি। দেশে-বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গি দমনে বিশেষ সাফল্য দেখাতে পেরেছে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশের নাগরিকদের সেবা দিয়ে আসছে পুলিশ বলে জানান তিনি।
রবিবার দুপুরে সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ও উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, যারা অনেক কাজ করে তাদের ভুলত্রুটি ও বেশি হয়। বাংলাদেশ পুলিশ যে কোন উদ্দেশ্যমূলক ভুলত্রুটির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য স্মার্ট পুলিশের প্রয়োজন হবে। আর এই স্মার্ট পুলিশ গড়ে তোলার জন্য আধুনিকায়নের কাজ চলছে। বাহিনীতে প্রশিক্ষণ ও পেশাদারিত্বকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন আরও বলেন, পুলিশ বাহিনীতে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও আধুনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। একইভাবে পুলিশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
দুপুরে সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ও কনফারেন্স হলের উদ্বোধন করেন আইজিপি।
এসময় তার সাথে ছিলেন মহানগর পুলিশের কমিশনার জাকির হোসেন খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা। সিলেট সফরে আইজিপি পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, সুধীজন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মাদক ও সন্ত্রাস দমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।