শাপলাচত্বর গণহত্যার রাতে এই মা আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশের ঝিলপাড়ে ঝুপড়িমতো একটি ঘরে তখন থাকতেন, এখনও একই জায়গায় আছেন। রান্নাবান্না করে মানুষকে খাওয়ান, এ বাবদে যা পান তা দিয়েই কোনোমতে জীবন চলে।
সেই কালোরাতে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে সাহায্য করেছিলেন তিনি। আহত, বৃদ্ধ ও শিশুদেরকে নিজ খুপড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তিনি, তাঁর স্বামী, দেবর মিলে যা করেছেন আমি নিজেই তার সাক্ষী। স্বামী মারা গেছেন তেরো সালেই। এরপর থেকে একাই থাকেন এখানে। মাঝেমধ্যে গিয়ে তাঁকে দেখে আসি। গতকাল সুযোগ পেয়ে দেখা করে এলাম। সন্তানবৎ স্নেহ করেন আমাকে।
উনি নিজেই অন্যের জায়গায় আশ্রিত, অথচ সে-রাতে অসংখ্য মানুষের আশ্রয়স্থল হয়েছিলেন। আমি এবং আমার মতো হাজারো মানুষ তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।